ডেস্ক নিউজ:
রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চাকরির কারণে এএসপি আনিসুল বরিশালে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে তার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করে পরিবার। তিনি চুপচাপ হয়ে যায়। এ চুপচাপের কারণে তাকে তারা এ মানসিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। মানসিক হাসপাতাল থেকে হঠাৎ করে রোগী কীভাবে চলে গেলেন? সেখানে গিয়ে রোগী প্রথমে ভালো ছিলেন পরে দেখা গেল যে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছেন। আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখলাম ৮-৯ জন লোক তাকে পিঠ মোড়াচ্ছে, তাকে মাথায় আঘাত করছে, তাকে বেঁধে ফেলছে এবং তাকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’
এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ডিসি হারুন বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় আমাদের কাছে স্পষ্ট মনে হয়েছে, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। এজন্যই হত্যাকাণ্ড কারণ যে ১০-১২ জন লোক তাকে পিঠ বেঁধে, মুড়ে, আছড়ে নিয়ে গেছে, তারা কেউ ডাক্তার না।’
এদিকে, এএসপির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আনিসুলের ভাই রেজাউল করিম বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে ভর্তি ফরম পূরণের সময় কয়েকজন কর্মচারী তার ভাইকে দোতলায় নিয়ে যান। কিছু সময় পরই জানানো হয়, আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান তিনি মৃত।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.