এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮৩ হাজার
ওয়ান নিউজঃ আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন।
মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্র ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯৬ হাজার ৯১৪ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।’
তিনি জানান, তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ মে। এবার ৮ হাজার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এ বছর মোট ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘২০১২ সালে শুধু বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়।’
‘এবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকবে না,’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.