উপকূলের অনেকেই খবর পায়নি ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা’র
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। মৌসুমের প্রথম এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হলেও উপকূলবাসীর অনেকেই এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ঘূর্ণিঝড় আসছে, তারপরও ঝুঁকি নিয়ে বসতঘরে অবস্থান করছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
অনেকেই জানান, কোথাও মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়নি। বলা হয়নি কাউকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে।
অথচ পেকুয়া উপজেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, আমাদের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। তা আমরা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছি ও নির্দেশনা দিচ্ছি।
এদিকে সোমবার বিকেল ৫টায় সরেজমিনে রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সাইক্লোন শেল্টারগুলো খালি পড়ে আছে। উপকূলের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বসতঘরের মধ্যে রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয়দের অনেকেই জানান, এলাকায় এখন পর্যন্ত মাইকিং করা হয়নি। জানানো হয়নি দুর্যোগের কোনো আগাম সতকর্তা। প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ তাদের জানায়নি দুর্যোগের খবর।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পেকুয়ায় প্রস্তুত রয়েছে ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র। জরুরি সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট, সিপিপির পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ৮টি, রেডক্রিসেন্ট ৩টিসহ মোট ১১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রান্তিক উপকূলে দুর্যোগের সংকেত না পৌঁছালেও পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.