শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার,
নিউজ কক্সবাজার এর স্পেশাল করেসপনডেন্ট ও কক্স টিভির স্টাফ রিপোর্টার আবদুল করিমকে বিনা কারনে উখিয়া থানার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সিদ্ধার্থ সাহা দীর্ঘক্ষণ ফাঁড়িতে আটকে রাখার খবর শুনে হ্নদযন্ত্রেও ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে তার আছিয়া খাতুন। সোমবার (২৫ নভেম্বর ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে দুপর ১টার দিতে স্থানীয় চায়ের দোকান থেকে আবুদল করিমকে কথা আছে বলে ডেকে ফাঁড়িতে নিয়ে বিনা কারণে আটক রাখে।
সেখানে তাকে মানষিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এস আই সিদ্ধার্থ সাহা তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও দাবী করেন। অন্যথায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ খবর মা আছিয়া খাতুনের কাছে পৌছাঁলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে অসুস্থ হয়ে মাঠিতে লুঠে পড়েন এবং মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন। মরহুম আছিয়া খাতুন (৮৬) উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের গোলাম শরীফের স্ত্রী। এদিকে এ খবরে পুরো এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিক আবদুল করিমের পরিবারের দাবী, তাদেও মা আছিয়া খাতুনের মৃত্যুও জন্য একমাত্র দায়ী ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিদ্ধার্থ সাহা। আবদুল করিমকে অন্যায় ভাবে আটক ও স্থানীয় এক মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়ার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা এব্যাপাওে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানান।
মরহুম আছিয়া খাতুন ৫ ছেলে ৫ মেয়ে ও অসংখ্য নাতি নাতনি রেখে গেছেন। তিনি কক্সবাজারের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ কক্সবাজার ডটকম’র স্পেশাল করেসপনডেন্ট ও কক্স টিভির স্টাফ রিপোর্টার আবদুল করিমের মাতা।
তার মৃত্যুতে নিউজ কক্সবাজার ডটকম পরিবার গভীর শোক প্রাকশ ও সর্ত্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সিদ্ধার্থ সাহা’র বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষকে আটকে রেখে উপর্যুপরি টাকা আদায়, মাদক মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে চাদাঁ, মানুষকে আটকে রেখে ইয়াবা দিয়ে দিয়ে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ আছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় প্রবাসী এক স্ত্রীর সাথে সিদ্ধর্থের অবৈধ সম্পর্ক কথা এলাকার লোকের মূখে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা সহ উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতিতে কে নাজেহাল, একটি মামলার আসামীকে মধ্যযুগীয় র্ববরতায় নিয়াতন চালানোর কারণে ওই ব্যক্তি এখন মুত্যুও পদযাত্রী। বর্তমানে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুও প্রহর গুনছেন। তার বিরুদ্ধে পাহাড় সম অভিযোগ উঠলেও তিনি বার বার অজ্ঞাত কারণে পার পেয়ে যায়।
এদিকে, সাংবাদিকের মায়ের মৃত্যুর খবরটি এসআই সিদ্ধার্থ এর কাছে গেলে তিনি তড়িগড়ি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কয়েকজনকে ডেকে স্বাক্ষর দিয়ে ছেঁড়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভর সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এস আই সিদ্ধার্থ’র বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.