উখিয়াতে ২টি করাতকল সিলগালা

মোঃ নেজাম উদ্দিন ,কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের উখিয়াতে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একদিনে ২টি করাতকল সীলগালা করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ।

বুধবার(১৩ এপ্রিল) উখিয়া উপজেলার উখিয়া রেঞ্জ এর অধীনে রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসা ও রাজাপালং প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে থেকে অবৈধ ২টি করাতকল সীলগালা করা হয়|।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাজ উদ্দিন ও উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা সহ অন্যান্য স্টাফ ও পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযানে রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসা ,ও রাজাপালং প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ২ টি অবৈধ স’মিলে বসিয়েছিল বনখেকোরা । বনবিভাগ তা জানতে পেরে বুধবার (১৩এপ্রিল) সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করে স’মিল ২টি উচ্ছেদ করে স’মিলের যাবতীয় যন্ত্রপাতি,বডি ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে উখিয়া রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স’মিল গুলো স্থানীয় মন্জুর আলম, মোস্তাফিজ,মোর্শদ,মোস্তফা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। ।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, করাতকলের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে মালিকপক্ষ কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় করাতকল সীলগালা করা হয়।এবং করাতকলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানান, আজ ২টি অবৈধ করাতকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও উখিয়াতে বেশ কয়েকটি  করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কোনভাবেই এই অবৈধ করাতকল থাকবে না । যারা অবৈধ করাতকল বসিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২১২টি করাতকলে উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বনাঞ্চলের আশপাশে অবৈধভাবে এসব করাতকল স্থাপন করা হলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২১২টি করাতকলের রয়েছে তার মধ্যে চকরিয়ায় ৩৯, পেকুয়ায় ১৮, সদর উপজেলায় ৩৩, টেকনাফে ২২, রামুতে ২৬, কুতুবদিয়ায় ১৩, মহেশখালীতে ২১ ও উখিয়ায় ৪০টি রয়েছে। এসব করাতকলের কোনোটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ১৭টি করাতকলের বন বিভাগের লাইসেন্স থাকলেও ইতিমধ্যে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।। বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপন না করার নিয়ম থাকলেও ৯০ শতাংশ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বনাঞ্চলের আশপাশে।
সাধারণ মানুষ মনে করঠে এভাবে যদি অবৈধ স’মলিগুলো বন্ধ করা হয় তবে সামাজিক বনায়ন ও বন রক্ষা পাবে।
এর আগেও কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জ এর অধিনে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স’মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.