উখিয়া রেঞ্জের জব্দকৃত বালি বেচতে মরিয়া এসিল্যান্ড

# মামলা চলমান
# এসিল্যান্ড বলছে বনের জায়গা নয়
# বালি ১৭হাজার ৫শত ঘনফুট প্রায়

মো. নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজারঃ
উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে বালি জব্দ করা হয়েছিল গত বছর ফ্রেরুয়ারী মাসে। মোট বালির পরিমাণ ১৭ হাজার ৫শত ঘনফুট প্রায় । কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের অধিনে তখনই আদালতে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয় । বনবিভাগের জব্দকৃত ও আদালতের মামলা চলমান থাকার পরেও ঐ বালি নিলামে বিক্রি করার আয়োজন করেছে উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা না করে বালি উত্তোলনকারিদের আরো লাভবান করে দিতে বালুখেকোদের উত্তোলিত জব্দকৃত বালি আবার বালি খেকোদের নিলামে বিক্রি করার পায়তারা করছে বলে জানা গেছে। অবশ্য সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) বলছে, এই বালি বনবিভাগের আওতায় নয় বিধায় আমি নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়,কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার উখিয়া রেঞ্জের মোছারখোলা টহল ফাঁড়ি পালংখালী ইউনিয়নের পালংখালী মসজিদের পাশে রির্জাভ উত্তর হ্নীলা মৌজায় গত বছর ফ্রেরুয়ারী মাসের ১১ তারিখ ১৭ হাজার ৫শত ঘনফুট বালি জব্দ করে বনবিভাগ। বালি উত্তোলনের অপরাধে মৃত সোলাইমান এর ছেলে সাইফুল ইসলাম ভুট্ট (৩৮) কে প্রধান আসামী করে মোছারখোলা টহল ফাঁড়ি বিট কর্মকর্তা, মোঃ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মোট ৪জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর বন -৩৭/২৩ এদিকে আদালতের মামলা তোয়াক্কা না করে উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার ভ‚মি সালেহ আহমদ মামলাকৃত বালি নিলামে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেরা সহকারি কমিশনার ভ‚মি সালেহ আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যে বালি উত্তোলন করা হয়েছে তা মামলার বালি নয় । যে নদী থেকে বালি উত্তোলন করা হয়েছে তা বনবিভাগের জায়গা নয় বিধায় নিলামে দিয়েছি।
কক্সবাজারের পরিবেশ বাদীগণ মনে করছে, যদি জব্দকৃত বালি আবারো বালি খেকোদের হাতে বিক্রি করা হয় তা হলে তারা আবারো বালি তোলার সুযোগ পাবে। আমরা মনে করি এই জব্দকৃত বালি প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দেওয়া ভাল।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে , গত বছরের ১১ফ্রেরুয়ারী মাসে কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার উখিয়া রেঞ্জের মোছারখোল টহল ফাঁড়ির রিজার্ভ উত্তর হ্নীলা মৌজার আর, এস ০৩ নং দাগের সংরক্ষিত বনভূমির হাসানের ঘাট নামক স্থানে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইমরান হোসাইন সজীব ও উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম এবং সংঙ্গীয় স্টাফসহ যৌথ অভিযান করার সময় সাইফুল ইসলাম ভুট্ট (৩৮)সহ আরো কয়েকজন সংরক্ষিত বনের পাহাড় হতে ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে ছড়ার পানির ফ্লো ব্যবহার করে পাহাড়ের মাটি কেটে তা বালি আকারে উত্তোলন করছিল। সেদিন অভিযান পরিচালনা করে ১৭হাজার ৫শত ঘনফুট বালি জব্দ করা হয় এবং আদালতে মামলা দায়ের করা হয় । এই মামালার ৪ নং আসামী রায়হান চৌধুরী পাহাড় কর্তনকারী সিন্ডিকেটের একজন অন্যতম সদস্য এবং তার নামে আরো পি ও আর বন মামলা আছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে সংবাদের ভিত্তিতে সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) এই বালির খবর পায় পরে তিনি নিলামের আয়োজন করে । এই বালির মামলা চলমান আছে তা আমি জানতে পেরে নিলাম আদেশ স্থগিত করার জন্য বলি। আদালতের আদেশ না আসা পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম জানান, যেসব বালি এসিল্যান্ড নিলামে বিক্রি করার কথা বলছেন তা কখনো করা যাবে না । এই জব্দকৃত বালি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে । যতক্ষণ আদালত আদেশ না দিচ্ছে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ।

 

 

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.