উইঘুর ইস্যুতে এবার মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা চায় চীন

অনলাইন ডেস্ক:
উইঘুর ইস্যুতে চীন নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের কূটনৈতিক মাধ্যম ব্যবহার শুরু করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর সহায়তার মাধ্যমে প্রচার করছে, উইঘুরে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না এবং সেখানে সংখ্যালঘুরা স্বাধীনভাবে নিজেদের সকল কার্য সম্পাদন করতে পারছে।

সম্প্রতি জিনজিয়াং সফর করেছেন বেইজিংয়ে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো ষড়যন্ত্র নেই, বরং কিছু সত্যতা আছে। জিনজিয়াংসহ প্রায় সর্বত্র চীন উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু কিছু লোক এটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা যে কোনোভাবেই হোক, চীনকে থামাতে চায়।’

এছাড়াও গত ২৬ মার্চ চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএন একটি রিপোর্টে বেইজিংয়ে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মঈন উল হকের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকার কর্তৃক সহিংসতার সামান্যতম প্রমাণও তিনি এখন পর্যন্ত দেখেননি। উইঘুর মুসলমানদের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে এবং তারা স্কুলে যাওয়ার অনুমতিসহ স্বাধীনভাবে ধর্মও পালন করতে পারছে।’
এদিকে, জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলমানদের ওপর চীন সরকারের আচরণকে সম্প্রতি ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও কয়েকটি দেশ। একই মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক টুইট বার্তায় বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমালোচনা সত্ত্বেও জিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীন। পাশাপাশি তাদের এ অপরাধ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচারের দাবিতে বিশ্বব্যাপী আমাদের মিত্রদের সঙ্গে দাঁড়াবো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুনে চীন-আরব সহযোগিতা ফোরাম এক ভার্চুয়াল সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে নেতারা বেশকিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ইরান, ওমান এবং বাহরাইন সফর করেছেন। সফর চলাকালীন বেইজিংয়ের শীর্ষ এই কূটনীতিক যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছেন সেগুলো হলো- এই দেশগুলো চীনের চাহিদাকে সম্মান করবে, ঘরোয়া রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলবে, এবং যখন পশ্চিমা সমালোচনার মুখোমুখি হবে তখন চীনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.