ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ ফিলিস্তিনের গাজায় বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে এই উৎসবের মধ্যেও সেখানে ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রেখেছে। ঈদের দিনে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙেছে রকেট হামলায়। এখন পর্যন্ত হামলায় গাজায় অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলের ছয়জন নিহত হয়েছেন।
গত সোমবার থেকে ইসরায়েল ও গাজার হামাস বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র রূপ নিয়েছে। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও হামাসের একে অপরের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে নিহত ৬৯ জনের মধ্যে ১৪ শিশুও রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে আরও ৩৯০ জন। ফিলিস্তিনিদের পাল্টা প্রতিরোধে ছয় ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার
গাজায় বুধবার দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হয়। এতে হামাসের গাজা সিটি কমান্ডার বাসেম ঈসাসহ দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তারা হামাসের ১৬ জন কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
হামাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়াও পুলিশের ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলের শিন বেট সিকিউরিটি সার্ভিস থেকে বলা হয়, বুধবারের বিমান হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে গাজা সিটি ব্রিগেডের কমান্ডারও রয়েছেন।
হামাসের পক্ষ থেকে তাদের কমান্ডার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, হামাসের হাজার হাজার নেতা ও যোদ্ধা তাদের (নিহতদের) পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটা সবে শুরু। আমরা তাদের এমনভাবে আঘাত করবো যেটা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারবে না।
এ পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শান্তি দূত তুর ভেনেস্ল্যান্ড এক টুইটে বলেন, অবিলম্বে এই আগুন বন্ধ কর। আমরা একটি পূর্ণ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। উত্তেজনা হ্রাসের জন্য সব পক্ষের নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.