বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে আপন ছোটভাইকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে আপন বড় ভাইদের বিরুদ্ধে । মৃত নজির আহমদের ছেলে আহত ওসমান গণি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বোনদের বুঝিয়ে দিতে নিজের জমি জবরদখল ঠেকাতে বড়ভাইদের কথা বললে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের ঈদগাও থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালখালী ৪নং ওয়ার্ডে। ঘটনার বিবরণী দিয়ে ঈদগাও থানায় আহত ওসমান গণির স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। যার মামলা নং ০১/২৩ । এজারহারভুক্ত আসামীরা হলেন, ওসমানের আপন বড়ভাই ডাক্তার সেলিম উল্লাহ, আবু তালেব এর ছেলে সোয়াইব,শিহাব, মোবারক হোসেন, আবু তালেব প্রকাশ সোনা মিয়া, পিতা মৃত নজির আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম, সেলিম উল্লাহ স্ত্রী আরেফা আক্তার, হাসিনা আক্তারসহ মোট ৮জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয় ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকাংশ ওসমান গণির বড়ভাই ডাক্তার সেলিম উল্লাহ ও মোবারক হোসেন এর দখলে থাকায় ৪বোনের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে ওসমান গণি অন্যভাইদেরকে অনুরোধ করলে বোনদের জমি দিতে অস্বীকার করে এবং বোনদের পক্ষে কথা বলায় বিভিন্নভাবে আপন ছোটভাই ওসমান গণিকে প্রাণ নাশের হামলা চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ( ৩০ মার্চ) দুপুরে ঈদগাঁ আরাফাত ফার্মেসীর সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান গণির উপর হামলা চালায় তার আপন বড়ভাই ডাক্তার সেলিম উল্লাহ ও মোবারক হোসেনসহ সঙ্গীয় সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় ওসমানের পকেটে থাকা ৪০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও সেলিমের আরেক সঙ্গী মৌলভী নুরুল হুদা ওসমানের হাত থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় যেখানে ২লাখ ২০ হাজার টাকা ছিল বলে জানান।
অন্যদিকে ওসমান গণি হামলার বিবরণ দিয়ে ঈদগাঁও থানা অভিযোগ দায়ের করা হলে হামলাকারিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে একইদিন রাত আনুমানিক ১০টা দিকে ওসমান গণির আপন বড়ভাইয়েরা বাড়ি যাওয়ার পথ গতিরোধ করে তার উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। উপর্যপুরি দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। ওসমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে তারা সেখান থেকে সরে পড়ে। পরে স্থানীয়রা জানতে পারলে তাকে প্রথমে ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ওসমান গণিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় একইদিন রাতে।
মামলার বাদী ওসমান গণির স্ত্রী হামিদা বেগম জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামীর জমি জবরদখল করতে আমার স্বামীর আপন বড়ভাইসহ বেশ কয়েকজন এক হয়ে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে গত ৩০মার্চ হামলা করে। এসময় ওসমানের পকেটে থাকা ৪০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও সেলিমের আরেক সঙ্গী আবু তালেব এর ছেলে সোয়াইব ও মৌলভী নুরুল হুদা ওসমানের হাত থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় যেখানে ২লাখ ২০ হাজার টাকা ছিল তা ছিনিয়ে নিয়েছে। মামলার বাদি হামিদা বেগম আরো জানান, বর্তমানে আমার স্বামী মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে । এই মূহুর্তে ডাক্তার সেলিমের রোকজন মৌলভী নুরুল হক , আবু তালেব এর ছেলে সোয়াইব,শিহাব, মোবারক হোসেন, আবু তালেব প্রকাশ সোনা মিয়া, পিতা মৃত নজির আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে । যদি মামলা তলে না নেই তবে আমাওে হত্য াকরে গুম করে ফেলবে এমন হুমকি দিচ্ছে নিয়মিত ।
ওসমান গণির আপন ভাগিনা আব্দুর রহমান ও মোর্শেদ জানান, ছোট মামা ওসমান গণি আমার মা ও খালাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে মামা ডাক্তার সেলিম উল্লাহ, মোবারক হোসেনসহ সকল মামাদের বলায় গত ৩০ মার্চ তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করা হয়েছিল। কারণ বোনদের হয়ে আমার ছোট মামা কথা বলে আসছিল বড় মামাদের সাথে।
কিন্তু তারা আমার মা ও খালাদের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য যিনি আমাদের হয়ে কথা বলছেন তাকে প্রাণ নাশের হামলা চালিয়েছে। ছোট মামা এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
আশা করছি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনবেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই( নিরস্ত্র) মোঃ জুয়েল সরকার জানান, মামলাটি আমার হাতে তদন্তাধিন রয়েছে । তালিকাভুক্ত আমসামী যারা রয়েছে তাদেও আমার খোজছি পেলে গ্রেফতার করা হবে। সেই সাথে এই মামলার আসল রহস্য কি তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) মো. গোলাম কবির জানান, তারা আপন ভাই। তাদের মধ্যে প্রায় সময় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা থাকে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আইন শৃঙ্খলা যেন সুন্দর থাকে সেদিকে নজর রেখে কাজ করছি। ওসমান গণির পরিবার থেকে এহাজার দায়ের করেছে । আমার আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.