ঈদগাঁওতে পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা

মাহমুদুল করিম মাহমুদঃ

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানাধীন পোকখালী ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে পৈতৃক জমিতে সন্তানদের ঘর তুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷স্বজনদের দাবি, চৌফলদন্ডী এলাকা থেকে ভাড়ায় সন্ত্রাসী এনে হুমকি দমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত ইউসুফ।

সরেজমিনে জানা যায়, মৃত সুজা আলমের ১ম স্ত্রী আয়েশা বেগম ও ২য় স্ত্রী ছেনু আরা বাবদ মোট ১৬ সন্তানের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশে ভাগভাটোয়ারা করে দিলেও ১ম স্ত্রীর প্রবাসী সন্তানেরা মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন থেকে ভাড়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রতিদিন হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে।

পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মাণে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঁধা দিলে ভুক্তভোগী পরিবারের সন্তান নজরুল স্থানীয় প্রশাসনে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে ঈদগাঁও থানার এএসআই মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের দলিলাদি দেখে বাড়ি নির্মানে বাঁধা দেওয়াকে অনৈতিক ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে বিশৃঙ্খলা না করতে উভয় পক্ষ কে অনুরোধ জানান৷ পরে অভিযুক্ত ইউসুফ গং রা থানার সেকেন্ড অফিসার শামীমের সাথে বাড়ি নির্মানে বাঁধা প্রদানের জন্য কন্টাক্ট করলে এসআই শামীম ঘটনাস্থলে এসে হুমকি দমকি দিয়ে বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেয়।

তাদের অভিযোগ, এসআই শামীম প্রতিনিয়ত অভিযোগকারী নজরুল ও বাড়ি নির্মান শ্রমিকদের ফোন কলের মাধ্যমে হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে। আইনের সহযোগীতা চেয়ে আবেদনে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া এএসআই মামুন কে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের কথিত ভাড়াতে সন্ত্রাসী জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয়ে হুমকির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

২য় স্ত্রীর সন্তান লবণ শ্রমিক নজরুলের অভিযোগ, পৈতৃক সম্পত্তি বাবদ ১৬ কড়া জমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সালিশের মাধ্যমে তাদের বুঝিয়ে দিলে তারা মোট ৫ কড়া জমিতে ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে। আর তাতেও ইউসুফ গং বাঁধা প্রদান করে। তাদের বিকল্প বাড়ি না থাকায় ঝড়বৃষ্টির দিনে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে এবং বাড়ির চুলায় আগুন জ্বালানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.