ঈদগাঁওতে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে নাজেহাল

মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফঃ

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে রহমত উল্লাহ নামের ঔষধ কোম্পানির এক প্রতিনিধিকে প্রকাশ্য দিবালোকে নাজেহাল পূর্বক অশ্লীল শব্দোচ্চারণের অভিযোগ উঠেছে ঈদগাঁও থানার এএসআই রুহুল আমিন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মুজিবুর রহমান ও অপর এক কনস্টবলের বিরুদ্ধে। সংগঠিত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রে ধিক্কার, প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবী উঠে। ২২ এপ্রিল ঈদগাঁও বাসস্টেশনস্থ ডিসি সড়কের মাথায় এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী রহমত উল্লাহ ঈদগাঁও মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো স্বাস্থ্য বিধি এবং অন্যান্য নির্দেশনা মেনে মোটর সাইকেল যোগে বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসীতে ঔষধের অর্ডার নিচ্ছিল। প্রতিমধ্যে বাসস্থানের ডিসি সড়কের সম্মুখে পৌঁছলে ঈদগাঁও থানার এএসআই রুহুল আমিন নামের এক অফিসার সংকেত দেয়। তিনি যথারীতি তাদের সম্মান দেখিয়ে কথা বলি। ভিডিওটি পর্যালোচনা কর দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য এসে রহমত উল্লাহর গায়ে হাত তুলতে উর্দ্যত হন।এ সময় উভয় পক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হতে দেখা গেছে। আর কিছুক্ষণ পর এএসআই রুহুল আমিন এসে রহমত উল্লাহকে বেয়াদব ডেকে দাম্ভিকতা দেখায়। আর কিছুক্ষণ পর ট্রাফিক পুলিশের কনেস্টবল মুজিবুর রহমান এসে বাইকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে কাগজ পত্র দেখাতে বলেন। রহমত উল্লাহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদর্শন করার পরও এএসআই রুহুল আমিন অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় পুরো ঈদগাঁও জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে হেনেস্তার প্রতিবাদ পুলিশের ফারিয়া। ফারিয়ার নেতৃবৃন্দরা জানান পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনি হাতে লাঞ্চিত, অপদস্ত হতে হলে ফারিয়ার নেতৃবৃন্দরা বসে থাকবে না। তারা জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম জানান, সাধারণ মানুষকে বেয়াদব বলাটা দুঃখজনক। তবে কেন কি কারণে বেয়াদব ডাকল সেটাও দেখার বিষয়। সরকারি দায়িত্ব পালন লক ডাউন বাস্তবায়ন সফল করতে গিয়ে মানুষের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে এটা সত্য। অভিযোগ উঠা এএসআই রুহুল আমিন দেখা করলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবে বলে জানান ওসি। অভিযোগের বিষয়ে এএসআই রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।ট্রাফিক সদস্যদের বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও ট্রাফিক ফাঁড়ির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) পলাশ চন্দ্র শাহার মোবাইলে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.