নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমা জোয়ারের তান্ডবে মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ধলঘাটা ইউনিয়নের বেহাল অবস্থা।
ধলঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমে বেরিবাঁধ ভেংগে গেছে। এই ভাংগন দিয়ে আজ শুক্রবারও জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমার জোয়ার ধলঘাটা দ্বীপের জন্য অভিশাপ বয়ে এনেছে। দ্বীপের চারিদিকে বেরিবাধের এখন ভয়াবহ অবস্থা।
আজ শুক্রবার ধলঘাটা ইউনিয়নের বেরিবাধের ভাংগনের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী।
ঘূর্নিঝড়ের কারণে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেরিবাধ ভেংগেছে এবং এই ভাংগন দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধলঘাটা ইউনিয়নের তরুণ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। তিনি জানান জোয়ার আসলেই সাগরের লোনা পানিতে সয়লাভ হচ্ছে ধলঘাটা দ্বীপ। ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কোমর পানিতে হেঁটে এলাকাবাসীর খোঁজ খবর নিচ্ছেন নিয়মিত।
ধলঘাটা ইউনিয়নে লক্ষাধীক কোটি টাকার মেঘা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও প্রতি বর্ষা মৌসুমে কিংবা ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের মৌসুমে সাগরের পানির সাথে বসবাসের এই দুর্গতি কখন শেষ হবে তা কেউই জানে না।
তবে সরকারের মেঘা পরিকল্পনায় এই জায়গায় হতে যাচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় সিংগাপুর।
২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:২০
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.