ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। লিটন দাস এবং রাব্বি ফিরে যান শুরুতে। সেই চাপ সামলে উঠতেই ফেরেন মুশফিকও। এরপর ইমরুল-মিঠুনের ব্যাটে গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ। তারপর আবার মিঠুন-মাহমুদুল্লাহ ও মেহেদি দুই রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন। তবে অন্য প্রান্তে ইমরুলে কায়েস একাই লড়ে গেছেন। তিনি তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তুলেছে।
ওপেনার লিটন দাস এ ম্যাচে ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান। দলের রান তখন ১৬। এরপর তিনে অভিষেক হওয়া ফজলে রাব্বি দলের ১৭ রানে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন। ইমরুল এবং মুশফিক এরপর গড়েন ৪৯ রানের জুটি। এরপর সেট হয়ে ২০ বলে ১৫ রান করে টেলরকে ক্যাচ দেন মুশফিক। দলের রান তখন ৬৬।
সেখান থেকে ইমরুল-মিঠুন বড় রানের ইঙ্গিত দেয়। তারা দু’জন ঝড়ো ব্যাট করে গড়েন ৭১ রানের জুটি। তবে মিঠুন ৪০ বলে ৩৭ রান করে ফেরার পর হুড়মুড়িয়ে উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। ক্রিজে এসে কোন রান না করেই ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ। জারভিস ২৮তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। পরের ওভারে ফেরেন মিরাজ। তবে ইমরুল আটটি চার ও তিনটি ছয়ের শটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন সাইফউদ্দিন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলেছিল সেই ২০০৬ সালে। এরপর দল দুটি নিয়মিতই ঢাকার এই মাঠে খেলতে নেমেছে। তবে ২০১০ সালের পর জিম্বাবুয়ে এই মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারেনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কারণ মিরপুরে শুরুতে ব্যাট করা দলের জয়ের সুযোগ থাকে বেশি। বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ফজলে রাব্বির।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বি, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, সাইফউদ্দিন, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা (অধি.), মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধি.), ক্যাপহাস জহুয়া, ক্রেগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, শেন উইলিয়ামস, সিকান্ডার রাজা, পিটার মুর, কাইল জারভিস, ব্রেন্ডন মাভুত, ডোনাল্ড ট্রিপানো, টেন্ডি সাতারা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.