ইনানীতে বীচে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের জন্য হাইকোর্টে নির্দেশ 

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রীট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইনানীর ইমামের ডেইল নামক স্থানে লাল কাঁকড়া বীচ সংরক্ষণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা এক রীটের প্রেক্ষিতে ২৮ নভেম্বর বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত ব্যাঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানাযায় উখিয়া উপজেলার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ইমামের ডেইল বিচে বিরল প্রজাতির লাল কাঁকড়ার অভূতপূর্ব বিচরণ ক্ষেত্র দৃশ্যমান হয়। উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে ছিল। কিন্তু এই উদ্দ্যোগে বাঁধ সাধে কতিপয় পরিবেশজীবির। ইউএনওর এই অনন্য উদ্দ্যোগকে স্তব্দ করার জন্য তথাকথিত পরিবেশজীবি গত ২২ অক্টোবর সমকাল পত্রিকায় মিথ্যা মনগড়া বানোয়াট সংবাদ ছাপে এবং জেলা প্রশাসক, ইউএনও উখিয়া সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে আইনি নোটিশ দেন। ফলে এই জনস্বার্থ ও পরিবেশ সম্মত উদ্দ্যোগ থেকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন নিজেদের গুটিয়ে নেয়। ফলে ককসবাজারের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে একটি বড়ো সম্ভাবনা বন্ধ হবার উপক্রম হয়। অনন্যোপায় হয়ে ককসবাজারের মানুষ ও পর্যটনের স্বার্থে এই লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের সচিব পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেয় ককসবাজার নাগরিক ফোরাম। পরে সমাজের বিভিন্ন জ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্বগন উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য দাবী তুলেন।এই ব্যাপারে দেশের প্রথম শ্রেনীর সংবাদ পত্র কালের কন্ঠ,ককসবাজারের লোকাল পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে।এবং টেলিভিশন সমুহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে। এই সব কিছু নাগরিক ফোরাম হাইকোর্টের নজরে আনলে মহামান্য হাইকোর্ট রবিবার শুনানি শেষে আবেদন নিস্পত্তি করে আইনানুগ ভাবে ইমামের ডেইলে লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ আদেশ প্রদান করেন। এখন উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য অন্য কেউ বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন আমরা কক্সবাজারের মানুষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এই লাল কাঁকড়ার ব্যাপারে খুবই পজেটিভ। ককসবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আমাদের অহংকার এই লাল কাঁকড়া বিচ এই বিচের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আকর্ষন বাড়াবে বহুগন। জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে নিঃসন্ধেহে। আমরা মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আরও কৃতজ্ঞতা জানাই এই বিরল প্রজাতির কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য জাতীয় ভাবে সংবাদ প্রকাশ কারীদের প্রতি। এ ছাড়াও সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মোঃ বেলাল হায়দর,এবং অন্যান্য সাংবাদিক সুশীল সমাজের প্রতিনিদি ও সকল নাগরিকদের প্রতিও। রিট কারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অজিহা আক্তার মালা। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন জানান, জীববৈচিত্র রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। আগে যেমন সমুদ্র এলাকায় নিরাপদে লাল কাকড়া ঘুরে বেড়াতো এখন আগের সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। তারজন্য নির্দিষ্ট এলাকা দেখে লাল কাকড়ার জন্য অভয়আরণ্য ঠিক রাখতে হবে তবে রাল কাকড়ার প্রজনন বাড়বে।আগে অনেক সামুদ্রিক পাখি দেখা যেত। এখন আগের মতো পাখি দেখা যায় না । তাদের জন্য যদি অভআরণ্য তৈরি করতে পারি তবে আগের মতো কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, ও লাল কাকড়া দেখা যাবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.