আ.লীগের আমলে আদালত নিরপেক্ষ নয় : রিজভী

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো আদালতই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে না। আর সেখানে যদি বিরোধী দলের মামলা বা অভিযোগ থাকে সেগুলো আওয়ামী লীগের দেয়া। সেটারও রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত রায়।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে সাংবাদিক চন্দন রহমানের ছড়ার বই ‘খোঁচা’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আদালত কি রায় দেবেন সেটা আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার বিষয়। কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী রায়ের একটি আগাম আভাস দিচ্ছেন। সুতরাং বোঝা যায় তিনি আদালতকে প্রভাবিত করছেন। তার কথায় আদালত কাজ করবে সেটা সুস্পষ্ট। কিন্তু ১৬ কোটির মানুষের দেশে এটা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দুদুকের দেয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যে রায় হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মনোনিত রায়। তার ইচ্ছের প্রতিফলন হতে পারে। জার্মানিতে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই ফুটে ওঠে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হিংসাশ্রয়ী, প্রতিহিংসার মামলা, এটা সবাই জানে। কিন্তু তার (প্রধানমন্ত্রী) উদেশ্য ভিন্ন। তিনি জার্মানিতে বলেছেন, এই মামলায় যা হওয়ার তাই হবে। মানে তিনি অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছেন। অর্থাৎ উনি যে আদালতকে প্রভাবিত করেন, করতে পারেন এবং ভবিষতে প্রভাবিত করবেন এটা প্রমাণিত।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা এখন অসংস্কৃতি কর্মকাণ্ড দাবি করে রিজভী বলেন, আপনার দলের প্রধান নেতা একজন এমপিকে চর মেরে দিচ্ছেন, কিল ঘুষি মেরে দিচ্ছেন, আপনার দলে যদি সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা থাকতো তাহলে এরকম সংবাদ গণমাধ্যমে কখনই আসতো না।

তিনি আরও বলেন, দলের নেতা দলের এমপিকে গুলি করে মেরে ফেলছে, এটা কি রাজনীতির কোনো দৃষ্টান্ত হতে পারে? আপনি প্রধানমন্ত্রী, ২০১৪ সালের পর আপনার বৈধতা শেষ হয়ে গেছে। তারপরও জোর করে ক্ষমতায় রয়েছেন, এটাও একটা  অসংস্কৃতি কর্মকাণ্ড।

লাবনী প্রকাশনীর আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, লাবনী প্রকাশনীর প্রকাশক ইকবাল হোসেন সালু, লেখক চন্দন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.