আসামীর হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার চকরিয়ায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে এক ভাই জামিনে,অপর ভাই জেলে
চকরিয়া প্রতিনিধি:
মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একটি মামলায় এক সহোদরের কারামুক্তি ও অপর সহোদর পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে গেছেন।অন্যদিকে জামিনে বের হওয়া ওই আসামীসহ অপরাপর অভিযুক্ত আসামীদের নানা ধরণের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন ভুক্তভোগী বাদীর পরিবার।কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব ওবাইদুর রহমান চৌধুরী মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়ার আলহাজ্ব ওবাইদুর রহমান চৌধুরীর শত বছরের বসতভিটার ৬শতক জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই এলাকার সোহরাব হোসেন নান্নু (ইউপি সদস্য) ও হাবিবুর রহমান বেদার গংয়ের সাথে।
ওবাইদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সীমানা বিরোধের সুযোগে তারা পুরো বসতভিটে জোর করে দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বিগত বছর ধরে।জবর দখলের সময় বাধা দেওয়ায় ভুক্তভোগী উবাইদুর রহমান চৌধুরীর পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায় দখলবাজরা।এতে হামলায় গুরুতর জখম হয় উবাইদুর রহমানের পুত্র কামরুল হাসান সায়েম।এ হামলার ঘটনায় ৬জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার হন সোহরাব হোসেন নান্নু নামের এক আসামী।
ওবাইদুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, আসামী সোহরাব হোসেন সোমবার মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি আসে।ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টায় একই মামলার আসামী তার ছোটভাই হাবিবুর রহমান বেদারকে থানার এ এস আই জুয়েল গ্রেফতার করে।মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে এক ভাই মুক্তি ও আরেক ভাই গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী উবাইদুর রহমান চৌধুরীসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে জেলফেরত সোহরাব হোসেন নান্নু ও তার বাহিনীর লোকজন প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে।এতে তাদের অব্যাহত হুমকীতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ভুক্তভোগী উবাইদুর রহমান পরিবার।তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওবাইদুর রহমান চৌধুরী।এ নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন নান্নু অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.