“আশা করি রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করবেন”

ওয়ান নিউজঃ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের সময়ই প্রমাণিত হবে, রাষ্ট্রপতির কাছে দেশ বড় নাকি আওয়ামী লীগ বড়?

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা দিবসকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক সংসদ নামের একটি সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি নেত্রী খালেদা ইয়াসমিন এতে সভাপতিত্ব করেন।

রিজভী বলেন, সার্চ কমিটিতে দলীয় লোকের নাম থাকলে আমরা তা মেনে নিবো না। দেশের সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মতবিনিময় করেছেন।

আশা করি তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। অন্যথায় আবারো রকিবুল্লাহ-করিমুল্লাহ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করলে তা প্রত্যাখান করা হবে।

এ নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করা ছাড়া বিএনপির কোনো বিকল্প থাকবেনা বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতিকে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, তিনি কি আলোর অধ্যায়ে থাকবেন, নাকি অন্ধকারের অধ্যায়ে থাকবেন? আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনি দেশের রাষ্ট্রপতি না কি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি?

সভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির সহ শিক্ষা সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নির্বাহী সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।

শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.