বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার শহরের বাদশার ঘোনা এলাকায় আলহেরা একাডেমির জন্য ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে উল্টো ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও দখলবাজ বাহিনী দিয়ে জবরদখলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে সংঘবদ্ধচক্র।
আলহেরা একাডেমীর পরিচালক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও মানবাধিকার কর্মী শওকত আলমের বিরুদ্ধে নানারকম কুৎসা রটাচ্ছে তারা।
এসব মিথ্যা সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আসল ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন শওকত আলম।
তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যে অন্যতম পরিচিত ও ঘনবসতিপূর্ণ জনপদের নাম বাদশা ঘোনা। এলাকাটির বাসিন্দাদের অধিকাংশ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। শিক্ষা-দীক্ষায়ও পিছিয়ে। এলাকাটি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে উদ্যোগী হই।
২০১০ সালে আলহেরা একাডেমির জন্য স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী থেকে ১৮ শতক জমি কিনে সেমি পাকা দুইটি ঘর তৈরি করি। সেখানে খুব সুন্দরভাবে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম।
২০১৮ সালে মজিবুল হক মানিক গং ওই জমি তাদের খতিয়ানভুক্ত দাবি করে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ বৈঠকে ২১ লক্ষ টাকা দরদাম সাব্যস্ত হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অংকে তারা টাকা গ্রহণ করেছে। যার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। কিন্তু রেজিস্ট্রির নামে টাকা নিলেও নানা টালবাহানা শুরু করে মুজিবুল হক মানিক গং।
সম্প্রতি ওই জমির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা করে পৌরসভা। জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়েই রেজিস্ট্রি না দিতে এসব অপপ্রচার করছে ঠকবাজচক্র।
শওকত আলম বলেন, ভূমি অফিসে খোঁজখবর ও তল্লাশি চালিয়ে অবগত হলাম, আমাকে বিক্রিত জায়গা রেজিস্ট্রি হওয়ার মতো কোনো ডকুমেন্ট নাই। জমিগুলো সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত।
মূলতঃ জমি রেজিস্ট্রি দেওয়ার নামে আমার পক্ষ থেকে গ্রহণ করা টাকাগুলো ফেরত চাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের সাথে জোট বেঁধেছে। স্কুলের জমি দখল করতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ও পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সংঘবদ্ধচক্রের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
শওকত আলম
পরিচালক, আলহেরা একাডেমী
৯ নং ওয়ার্ড, বাদশা ঘোনা, কক্সবাজার পৌরসভা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.