ওয়ান নিউজ ডেক্স
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ‘আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১’ এর কাজ বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জায়গাটি ক্রয়কৃত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবী করা হলেও বন বিভাগ বলছে, তা বন বিভাগের জমি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জায়গাটি কউক ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে পুণরায় পরিমাপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির কর্তৃক ইস্যুকৃত ওই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকেও। চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমেদ। গত ১৪ অক্টোবর এ চিঠি ইস্যু করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারিভাবে কোন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলেও ব্যাংক ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ফ্ল্যাট পেতে ইচ্ছুকদের কাছে ২ হাজার টাকা করে আবেদন পত্র বিক্রয় এবং জামানত বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে অর্থ সংগ্রহ করছে কউক। প্রকল্পের কাজের শুরুতেই সেখানে পাহাড় কাটারও অভিযোগ উঠে। অপরদিকে জমির মালিকানার দাবীদাররা জানিয়েছেন, কউক যে দামে জমি ক্রয়ের কথা ছিল তার অর্ধেক মূল্যও তারা পায়নি।
চিঠিতে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে যে জমিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে তা সরকারি জমি। ওই জমি নিয়ে বর্তমানে দুইটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমেদ বলেন, ‘বন বিভাগ থেকে আমাদের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা এই আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রজোয্য নয়। ক্রয় করা জমিতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখানে নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা তা বন বিভাগকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবুও কউক ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে জায়গাটি প্রয়োজনে আবারও পরিমাপ করা হবে।’
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজারে আবাসন সমস্যা নিরসনের জন্য ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১‘ শীর্ষক এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৪টি ১৫ তলা ভবনে মোট ৩৭৮ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বর্গফুট ৩ হাজার ৮৯৫ টাকায় নির্ধারিত শর্ত পালন সাপেক্ষে ফ্লাট বরাদ্দ প্রদান করা হবে। আবেদনপত্রের সাথে জামানত হিসেবে তিন লক্ষ টাকার পে-অর্ডার/ ব্যাংক ড্রাফ্ট চেয়ারম্যান, কউকের অনুক‚লে জমা প্রদানের শর্তারোপ করা হয়েছে।
স্থানীয় অনেকে অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ফ্ল্যাটের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য জেলার আবাসন প্রকল্পের সরকারি রেইটের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে ফ্ল্যাট ক্রয়ে অনেকে আগ্রহ হারাবে।
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৪৫
আগের খবর
পরের খবর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.