আবরার হত্যার আসামি আজীবন বহিষ্কৃত বিটু ক্লাসে

ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটু হাইকোর্টের আদেশে ক্লাসে ফিরেছেন। এর প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থিরা। বিটুকে পুনরায় স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২৯ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। নইলে ৩০ মে থেকে ক্লাস বর্জনের আলটিমেটাম দেন তারা।

তবে প্রাথমিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় বুয়েট ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবেন তারা। বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেইসবুক পেইজে (বুয়েটিয়ান) এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে বিটু চলমান টার্মের চারটি কোর্সে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গত ২২ মে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনলাইন ক্লাসে যোগদান করেন আশিকুল ইসলাম বিটু। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তিনি আর ক্লাসে যোগ দিতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিটুকে পুনরায় স্থায়ী বহিষ্কারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানান, আবরার হত্যা মামলার আসামি আশিকুল ইসলাম বিটুর চলমান টার্মের কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং সে যেন কখনও ক্যাম্পাসে ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে চান তারা। এরই অংশ হিসেবে বুয়েট ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকায় আশিকুল ইসলামকে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আশিকুলের বহিষ্কারাদেশের ওপর আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুয়েটের পক্ষ থেকেও আইনিভাবে লড়াই করা হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বিকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার। এর জেরে পরদিন রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়। নৃশংস এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এর পর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামিসহ মোট ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে একজন হলেন আশিকুল ইসলাম বিটু, যিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.