আদালত পরিবর্তনের আবেদন খালেদা জিয়ার
ওয়ান নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত ও বিচারক পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেগম জিয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। এসময় তিনি জানান, আগামী সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে বিষয়টির ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানি চলছে। দুটি মামলাই বর্তমানে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।
হাইকোর্টে করা আবেদনে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘অন্য মামলায় মাসখানেক পরপর তারিখ রাখা হলেও বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তার মামলায় কখনও কখনও এক সপ্তাহে দুইবারও দিন রাখেন। মামলার বিচারে বিচারক ‘তাড়াহুড়া’ করছেন বলে খালেদার অভিযোগ করেন।’
এর আগে, খালেদার আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচারক গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনের শুনানি করার আগে আসামি খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি করতে চাইলে আইনজীবীরা অনাস্থা জানান। বিচারক পরে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান- ‘তিনি দোষী না নির্দোষ’। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে খালেদাও ওই সময় বিচারকের প্রতি আনাস্থা প্রকাশ করেন। পরে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন রেখে শুনানি মুলতবি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.