ডেস্ক নিউজ:
সামনে ঈদ, কিন্তু ব্যাংক খোলা থাকছে মাত্র দুই দিন। অর্থাৎ, আগামী ৯ দিনের মধ্যে সাত দিনই ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এ কারণে হঠাৎ করেই ব্যাংকে ভিড় বেড়ে গেছে। অতিরিক্ত ভিড় থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি ছিল। গ্রাহকের বেশিরভাগই নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য এদিন ব্যাংকে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলার পর পরই শাখাগুলোতে ভিড় করেন গ্রাহকরা। বেশিরভাগ শাখায় গ্রাহকের লম্বা লাইন দেখা গেছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে এটিএম বুথগুলোতেও।
বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের গ্রাহক আজিজ সরদার জানান, ঈদের বাকি এখনও সাত দিন। কিন্তু ব্যাংক খোলা থাকবে মাত্র দুই দিন। এ কারণে ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছেন তিনি। তার মতো অন্যরাও আজ ভিড় করেছেন। হয়ততো ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কেনাকাটা শেষ করতে চাচ্ছেন অনেকে। এজন্যই সবাই ব্যাংকমুখী হয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের আগে আর মাত্র দুই দিন ব্যাংক খোলা। আগামী রবি ও মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। ১৪ মে যদি ঈদ হয়, তাহলে বুধবার (১৩ মে) কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয়— এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার (৭ মে ) থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৯ দিনের মধ্যে রবিবার (৯ মে) ব্যাংক খোলা। পরদিন সোমবার (১০ মে) পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এরপর ঈদের আগে মঙ্গলবার (১১ মে) ব্যাংক খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সাত দিন ব্যাংক বন্ধ। তবে ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে সীমিত আকারে উপজেলা শহরের শাখাগুলো সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ ও তিন দিন খোলা থাকছে। ব্যাংক খোলা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। ফলে যেসব উপজেলায় গার্মেন্টস কারখানা নেই, সেসব উপজেলায় ঈদের আগে মাত্র দুই দিন ব্যাংক খোলা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.