ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর টেলিভিশন সম্প্রচার যাত্রা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে। আসন্ন সাইথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু হবে। এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে টিভির লাইভ পরীক্ষা হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে অন্তত ২০টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
এ সম্পর্কে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল নাইন’ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রডাকশানের দায়িত্বে আছে। মূলত তাদের কাছ থেকেই বিসিএসসিএল ফিড নিয়ে তা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দেয়া হবে। এর মাধ্যমেই পরীক্ষা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১-এর সম্প্রচার কাজ। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ড. শাহজাহান মাহমুদ।
অপরদিকে, এ প্রকল্পে সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত এই লাইভ পরীক্ষার বিপক্ষে। তাঁরা বলছেন, স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ‘থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস’ এখনো তাঁদেরকে স্যাটেলাইট বুঝিয়ে দেয়নি। এখনও একটি পরীক্ষা বাকি আছে। আর সেটি হওয়ার পরেই এ মাসের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
তবে বিসিএসসিএল’র পক্ষ থেকে ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে ঠিকঠাক পৌঁছে গেছে এবং পারফর্ম করছে। সুতরাং কোনও সমস্যা হওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো একটি বড় উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্যবহার সার্ক অঞ্চলে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ।
তিনি আরও জানান, পুরো কার্যক্রমে আমাদের সঙ্গে থ্যালাস থাকবে। সুতরাং সমস্যার কোনও সুযোগ নেই। সাফের সম্প্রচারের জন্য এটিই একমাত্র মাধ্যম নয়। মূলত চ্যানেল নাইন তাদের মতো করে সম্প্রচার করবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দিয়ে কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ইতোমধ্যে সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এই স্যাটেলাইট থেকে সংযোগ নেওয়ার জন্যে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাছাড়াও তারা স্যাটেলাইট থেকে সেবা নিতে ৪৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের কেপ কার্নিভাল থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে স্যাটেলাইট তৈরির পুরো কাজটি বাস্তবায়িত হয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন (ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। আর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.