আগামীতে মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে যাদের মধ্যে হবে দলীয় নেতৃত্বের লড়াইঃ
জে,জে বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাজনীতির মাঠে দেড় বছর কোন দীর্ঘ সময় নয়। আগামী সংসদ নির্বাচনে মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে কারা হচ্ছেন আওয়ামী,বিএনপি,জাতীয় পার্টি, নিবন্ধনবিহীন জামাত কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দৌড়। সেসব বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন। এমনটি ইংগিত করছে বিদেশী কুটনীতিক সহ বর্তমান সরকার ও বিরোধী দল। নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং ভোটে পাস করে এমন সেরা প্রার্থীদের হাতে নৌকা ও ধানের শীষের টিকেট তুলে দেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংসদে বিতর্কিত, দলীয় নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে চলা এমপি,তৃনমুলে বির্তক,জনবিচ্ছিন্ন নেতা নেত্রী কারো কপালে নৌকার টিকিট জুটছে না বলে সতর্ক করা হচ্ছে। তবে মহেশখালি কুতুবদিয়ায় ৯ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি এমন লোককে বাচাই করবেন যাতে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমানে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কক্সবাজার-২ আসনে মহেশখালি কুতুবদিয়ার জনসাধারণ ভাবতে শুরু করেছে বিগত দিনে এলাকায় উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা, কোন্দল, দুর্নীতিসহ কয়েক বছরের নানা ইস্যুতে । যাতে পার্থক্য খুজে দেখেছেন আগামী নির্বাচনে কে হবেন যোগ্য সাংসদ। এসব তুলে ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন দলের বর্তমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যক্তিগত আমলনামা পরখ করে দেখছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একাধিক গোপন জরিপের মাধ্যমে প্রত্যেক আসনে ‘গুড ইমেজ’র প্রার্থী বাছাই করছে আওয়ামী লীগ। বসে নেই বিএনপি ও জাতীয়পার্টি। আসনভিত্তিক মনোনয়ন একজন পেলেও নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে এবার প্রতি আসনে তিন প্রার্থীর নাম বাছাই করা হচ্ছে। নির্বাচনের সময়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর অবস্থান যাচাই করেই বাছাইকৃত তিন প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনের হাতে দলীয় প্রতীক নৌকার টিকেট তুলে দেবেন দলের হাইকমান্ড। একটি বিশেষসুত্রে জানা যায়, মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে আওয়ামী দলীয় গুড বুকে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে জেলা যুবলীগ নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা কামরুল হাসান চেয়ারম্যান । যদিও পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফার নাম ও রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসাবে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে দুটি নাম পৌছেছে বলে নিশ্চিত করেন বিএনপি দলের এক নেতা।। তারা হলেন সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদ এমপি ও কুতুবদিয়ার এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী। এমনকি এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন এপিএস খ্যাত বিএনপির সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ । যিনি বর্তমানে ভারতের শিলং এ অবস্থান করেছেন। এ ছাড়াও নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে মরিয়া পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ আনচারুল করিম। জাতীয়পার্টি থেকে ইতিমধ্যে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন সাবেক জেলা সভাপতি আলহাজ্ব কবির আহমেদ সওদাগর ও জেনারেল হসপিটালের মালিক আলহাজ্ব মুহিবুল্লাহ। যদিও গত কয়েকমাস পুর্বে কক্সবাজারে এসেছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। এ সময় তিনি আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগরকে সবুজ সংকেত দিলেন বলেও দলীয় সূত্রে জানা যায়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও চান যে, আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর মহেশখালী – কুতুবদিয়া আসনে নির্বাচন করুক। কারণ সে গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন শুধু মাত্র এরশাদের একটি হ্যালোতে। এদিকে জামাত দলীয় ভাবে নিবন্ধন বাতিল হলেও বিভিন্ন উৎসব আমেজে মহেশখালি কুতুবদিয়ায় প্রচারনা সচল রেখে আগামীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে উপস্থাপনে টাঙ্গিয়ে রেখেছেন সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদ। এছাড়াও অনেক ছোট বড় নেতাকর্মী নিজেদের এমপি নির্বাচনে দাড় করানোর ঘোষনা দিলেও জনগন তা হাস্যকর ভাবে উড়িয়ে দিচ্ছে। কেননা কয়েকজন চুনোপুঁটি নিয়ে কয়েকটি ফটোসেশন করে নিজেকে জাহির করলেই এমপি নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেন বড় মহেশখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক বর্ষিয়ান এক সভাপতি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ। এতে চট্রগ্রাম বৃহত্তর বিভাগীয় ১৭ ও ১৮ নং আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী( বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) যিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২য় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৯ সালের ১৮ই ফ্রেবুয়ারীতে বৃহত্তর চট্রগ্রাম একই ১৮ আসনে বিএনপি সমর্থিত সাংসদ মোঃ শাহাজান চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের বার ১৯৮৬ সালের ৭ই মে ৩য় সংসদ নির্বাচনে চট্রগ্রাম বিভাগ হতে আলাদা হয়ে কক্সবাজার ১,২,৩,৪ আসন সৃষ্টি করে সংসদীয় কমিটি । এতে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির উইথ কমান্ডার(নৌ) জহিরুল ইসলাম। তারপর ১৯৮৮ সালের ৩রা মার্চে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হলেও বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল তা প্রত্যাখান করেছিলো বিধায় কোন সংসদ কার্যকর হয়নি। ফলে ১৯৯১ সালের ২৭শে ফ্রেবুয়ারী পঞ্চম সংসদে কক্সবাজার-২ মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী দলীয় সাংসদ হিসাবে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের মোঃ ইসহাক বি,এ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফ্রেবুয়ারী ৬ষ্ঠ বারের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপি দলীয় কুতুবদিয়ার এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী । তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সে নির্বাচন। পুনরায় ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে আবারো বিএনপি দলীয় আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদ এমপি নির্বাচিত হন। এমনকি ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরে ৮ম সংসদ নির্বাচনে ও বিএনপি দলীয় সংসদ আলমগীর মুঃমাঃ উঃ ফরিদ নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগত ভোটে চারদলীয় হওয়ায় জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়।
এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় তখন বিএনপির সাংসদ আলমগীর মুঃমাঃউঃ ফরিদ জেলে থাকার ফলে কুতুবদিয়া থেকে জামায়াত সমর্থিত ঐক্যজোটের প্রার্থী এ,এইচ,এম হামিদুর রহমান আজাদ নির্বাচিত হন। বিগত ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বিনাভোটে সংসদ নির্বাচিত হন আশেক উল্লাহ রফিক যিনি তখন জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সে সময় সারাদেশে ১৫৪ জন এমপি নির্বাচিত হন বিনাভোটে । মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে দীর্ঘ ২৩ বছর পর বিনাভোটে আওয়ামী সমর্থিত সাংসদ পেলেও ১৯৯১ সালের পর হতে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে আওয়ামী দলীয় নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেনি এখনো পর্যন্ত কেহ । বিগত কয়েকটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে কুতুবদিয়ার এড: ফরিদুল আলম, পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ আনচারুল করিম,এড.সিরাজুল মোস্তফা প্রার্থী হলেও কেহ কক্সবাজার -২ আসন হতে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেনি। দলীয় কোন্দল কিংবা আসনটিতে বেশির ভাগ জনগন বিএনপির অধ্যুষিত হওয়ায়। বর্তমানে এবং আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনেকটা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন নির্বাচন হবে বলে আশা করছে জনগন। কেননা আনুমানিক গত ৯ বছর ধরে আওয়ামী সমর্থিত সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক নির্বাচিত এমপি হিসাবে মাঠে সক্রিয়। দলগতভাবে নতুন কর্মী ও জনগন তৈরি করেছে বলে দাবি করছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। বড় বড় মেগা প্রকল্প ও হচ্ছে মহেশখালিতে। তবে মাঠের পরিস্থিতি সুফল হবে বলে মনে হচ্ছেনা। কেননা গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাধীনতা ও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিতে মৃদু চাপ দিয়েছিলেন সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক। এমনটি অভিযোগ রয়েছে এখনো উপজেলার আকাশে বাতাসে। যে বিষয়টি খুব বেশি আওয়ামী তৃণমুল নেতাদের মাঝে আলোচিত ও সমালোচনা হয়েছিলো তা হলো বর্তমান সাংসদের উপজেলা কমিটিতে সাধারন সম্পাদক পদ দখল করা। বিষয়টি সাধারন জনগন আর স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভালো চোখে নেয়নি। নতুন কর্মী আর নেতা সৃষ্টি যেখানে দলীয় নির্দেশ সেখানে এক নেতার তিনপদ আকৃষ্ট রাখা সমীচীন নয় বলে জানান রাজনৈতিক বিজ্ঞরা। যদিও এখনো পর্যন্ত ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। মাঠ গোছাতে যিনি চেষ্টা আর যথেষ্ট কষ্ট করেছেন । কিন্তু কেন জানি মাঠ পর্যায়ে এখনো গুছিয়ে উঠতে পারছেনা। বিশেষ করে মহেশখালীতে দলীয় নেতাদের অবস্থা ভাল না। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড: সিরাজুল মোস্তাফা এবং থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী সহ একাধিক নেতাদের মনোভাব এখনো স্পষ্ট নয়। নির্বাচনী মাঠে সহজে মহেশখালি কুতুবদিয়ার সব আওয়ামী নেতারা এক হতে পারেনা। যার কারনে দলীয় ভোটে বার বার পরাজিত হয় বলে ধারনা অনেকের। এক্ষেত্রে সবার গ্রহনযোগ্য নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হিসাবে যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান কে বিভিন্ন গোয়েন্দা জরিপে এগিয়ে রাখছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়। যেহেতু জেলা উপজেলা রাজনৈতিক নেতাদের সবার সাথে প্রার্থীদের ভালো সম্পর্ক দরকার। কামরুল হাসান প্রার্থী হলে ভোট ব্যাংক হিসাবে ধলঘাটা মাতারবাড়ীর দুই ইউনিয়ন এর সাথে কালামারছড়া সহ ৪৫ /৫৫ হাজার ভোটার হিসাব পাল্টে দিতে পারে বিজয়ের ফলাফল । অন্য কোন প্রার্থী এত রির্জাভ ভোট নিয়ে মাঠে সক্রিয় হতে পারবেনা বলে ধারনা করছে উত্তর মহেশখালির লোকজন। এদিকে হামিদুর রহমান আযাদ বিএনপি অথবা স্বতন্ত্র থেকে নমিনেশন নিয়ে ভোট করলে কুতুবদিয়া অংশটি বড় বাধা হয়ে দাড়াবে নৌকা প্রার্থীর। কেননা মহেশখালি দ্বীপে ২/৩ জন প্রার্থী আর ককুতুবদিয়া হতে একক প্রার্থী হলে সব সময় ভোটের হিসাবে কুতুবদিয়ার প্রার্থী এগিয়ে থাকবে বলে ধারনা পাওয়া যায়। অন্যদিকে ধলঘাটা, মাতারবাড়ী এবং কালারমারছড়ার জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত ভোট যে প্রার্থীর কপালে জোটে সেটাও জয়ের ক্ষেত্রে বড় সহায়ক ভুমিকা রাখে। তবে যে প্রার্থী আসুক না কেনো যদি বিএনপি একক প্রার্থী হিসাবে আলমগীর ফরিদকে ঘোষনা করে। জামাত কিংবা এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ যদি নির্বাচন না করে তবে ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হবার সম্ভাবনা অসম্ভব নয়। গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো,গতবারে মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনটি জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দেবার কথা ছিলো মহাজোটগত ভাবে। এমনকি চকরিয়া আসনটি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ঘরে যাবে । কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর এমন হিসাবে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং কুতুবজোম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কবির আহমেদ সওদাগর জাতীয় পার্টি থেকে বিনাভোটে সাংসদ হবার মাত্র ঘোষনায় ছিলো বাকি। বর্তমানে যেমন চকরিয়া পেকুয়া আসন হতে আলহাজ্ব মোঃ মৌলভী ইলিয়াছ সাংসদ হিসাবে সংসদে সক্রিয়। তেমনি হতো কবির আহমদের ভাগ্যে। কিন্তু কেন্দ্র হতে গোপনে এমন খবর শুনে সেদিন বর্তমান আওয়ামী সমর্থিত সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক তড়িঘড়ি করে ঢাকায় যান। এবং কেন্দ্রীয় ভাবে মহেশখালি হতে জাতীয় পার্টির আসনটি চকরিয়া বদল করে নিজের আয়ত্বে নেন রাজনীতির দাবার গুটি । কথিত আছে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আপন চাচা আলহাজ্ব আলমগীর মুঃমাঃউঃ ফরিদ ধানের শীষে মনোনিত প্রার্থী হলে, বর্তমান আওয়ামী দলীয় সাংসদ সেদিন চাচার পক্ষে ধানের শীষকে বিজয় করার লক্ষ্যে কাজ করেন। এমনটি জানান বড় মহেশখালির প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী সেলিম। তবে সব কিছুর উর্ধ্বে রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। নৌকার টিকিট যিনি পাবে সে অর্ধেক বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করে যেকোন প্রার্থী। বিএনপি যদিও ইসি সংলাপে সেনা মোতায়েনে সুপারিশ করবে। সুষ্ট নির্বাচন হলে মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনে আবারো বিএনপি জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা সহ ক্লিন ইমেজের কোন প্রার্থীর ভাগ্যে আসেনটি যেতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় জননগন। তবে চমক হতে পারে যদি ধলঘাটা,মাতারাবাড়ি, কালামারছড়া,শাপলাপুর একতা হয়ে একক প্রার্থী হিসাবে উত্তর মহেশখালী কামরুল হাসানকে মাঠে নামায়। জোটগত আর ভোটগত কিছু বিষয় রয়েছে যা আরো কিছু দিন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বলা যাবে কক্সবাজার ২ আসন আগামীতে বিএনপি,জামাত,জাতীয়পার্টি কিংবা লীগের দখলে থাকছে কিনা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.