জে.জাহেদ, বিশেষ প্রতিবেদক:
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্নিষ্টতার অভিযোগ তোলায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগে।
আলোচিত সাংসদ আবদুর রহমান বদিকে ঘিরে আরো জোরালো হয়ে উঠেছে এই বিতর্ক। জেলা আওয়ামী লীগের সভায়ও এ নিয়ে হচ্ছে বাক-বিতণ্ডা।
স্থানীয় একটি হোটেলে সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ওই সভা। সেখানে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও এমপি বদি একে-অপরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে দোষারোপ করে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।
মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, বদি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা পাচার বেড়েছে। এমপি ও তার ভাইসহ পরিবারের অনেকে ইয়াবা পাচারে জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন, ইয়াবা ব্যবসা করে যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। অন্যদিকে নিরীহ লোকজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে। এমপির কারণে তার দুই ছেলের নাম ইয়াবা কারবারির তালিকায় উঠেছে বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী।
এই সময় সাংসদ আবদুর রহমান বদি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলেরা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, তারা পারলে আগামী নির্বাচনে যেন তার মনোনয়ন পাওয়া ঠেকায়।
সভায় অনেকে অভিযোগ করেন, দলের একজন ত্যাগী নেতাকে (কাউন্সিলর) ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া বলেন, যারা ইয়াবা কারবারে জড়িত নেই তাদের নামও তালিকায় রয়েছে। অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। দলের অভ্যন্তরে থাকা ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দলের মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্নিষ্ট কেউ থাকলে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.