আওয়ামী লীগের ইশতেহার থাকছে বিশেষ অঙ্গীকার

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ নবীন ও প্রবীণ ভোটারদের টানতে বিশেষ অঙ্গীকার থাকছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। সেইসঙ্গে ইশতেহারের মাধ্যমে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নীতিগত অবস্থানের কথাও তুলে ধরা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমানে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই ইশতেহার তৈরির বেলায় দলের ঘোষণাপত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার তৈরির কার্যক্রম দেখভাল করছেন। তিনি এ নিয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাককে এরই মধ্যে বেশকিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ড. রাজ্জাক ইশতেহার তৈরি সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে ইশতেহার কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছে গত রোববার। এই বৈঠক থেকে ইশতেহারে সংযোজনের জন্য সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে প্রস্তাব তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নভেম্বরের শুরুর দিকে এ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে রোববারের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিকুজ্জামান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, শেখর দত্ত, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন এবং ড. সেলিম মাহমুদ।

নির্বাচনী ইশতেহারে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের মতামত থাকবে বলে কমিটির কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন। এতে দলের অঙ্গীকার ও কর্মসূচি তুলে ধরা হবে। আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণসহ কার্যকর সংসদ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার বিষয়ও ইশতেহারে থাকবে। এ ছাড়া সুশাসন ও প্রশাসনিক সংস্কার, আইন-শৃঙ্খলা, দারিদ্র্য বিমোচনসহ কর্মসংস্থান ও সমাজ উন্নয়ন, কৃষকের স্বার্থ ও কৃষির আধুনিকায়ন, শিল্পায়ন ও বাণিজ্য, শিক্ষাসহ সংস্কৃতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যয় সবার সামর্থ্যের মধ্যে আনা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণে দলীয় অবস্থান আরও স্পষ্ট করা হবে।

নির্বাচনী ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুর অধিকার, শ্রমিক ও শ্রমনীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা, স্থানীয় সরকার ও জনগণের ক্ষমতায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, মূল্যস্ম্ফীতি রোধ, সরকারি প্রচারমাধ্যম ও সংবাদপত্র, গণপ্রচার মাধ্যম ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ, পরিবেশ ও পানিসম্পদ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, ক্রীড়া, পশ্চাৎপদ অঞ্চল ও অনুন্নত সম্প্রদায়, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দলের পরিকল্পনার কথা নতুন করে জানানো হবে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যও স্থির করা হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.