মোঃ নেজাম উদ্দিনঃ
হলুদ টুপি পরিহিত আর মুখে শেখ হাসনা,নৌকা, কমলভাই শ্লোগানে মুখরিত করে কক্সবাজার মাতিয়ে তুলেছিল গতকাল এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সমর্থকরা।
বুধবার(৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের সমর্থনে প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে যোগ দিতে সকাল থেকে আসতে শুরু করে। হলুদ টুপি পরিহিত সমাবেশস্থলে দেখা যায় অধিকাংশ নেতা কর্মীরা এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে। রামু উপজেলার ১১ইউনিয়ন ও কক্সবাজার সদরের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যানারে মিছিলসহকারে সমাবেশে উপস্থিত হন।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, গর্জনিয়া থেকে প্রায় ৫হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি হয়েছে গতকালের সমাবেশে। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও এভাবে কাজ করবে নেতাকর্মীরা।
বুধবার এক দিনের সফরে কক্সবাজার আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকালে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে দুপুর আড়াইটায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে দেখা গেছে। তাদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো কক্সবাজার শহর। এসব নেতাকর্মী কক্সবাজারের দূরের উপজেলাগুলো থেকে আসছেন।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বাস নিয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা শহরে আসছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের খাবার, গেন্জি, ক্যাপ সরবরাহ করছে একদল কর্মী।
এসময় কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহা্জ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, আমার নেতা কর্মীরা গতকালের সমাবেশকে সাফল্য করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। গত কয়েকদিন না ঘুমিয়ে রাতদিন কাজ করেছে। যার ফল গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে আমাকে নেতাকর্মীরা আশাহত করেনি। লাখো নেতাকর্মী রামু উপজেরা থেকে গেছে। সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা তো সামান্য করছি। রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বডুয়া বলেন, পুরো জেলায় গাড়ির সংকট তৈরি হয়েছে। তারপরেও আমার নেতা কমলভাই হাজারো নেতাকর্মীদের নিয়ে সভাস্থলে চরে গেছেন সঠিক সময়ে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে ৫ স্তরের এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, শুধু জনসভাস্থল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়, এর আশপাশের পুরো কক্সবাজার শহরে জনসমাগম হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে তিন লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করতে পারবে। এছাড়াও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ স্মরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষ জমায়েত হবে। জনসভার ভাষণ প্রচারের জন্য পুরো এলাকাজুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:০৫
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.