অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ
ওয়ান নিউজঃ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রিট খারিজের আদেশ দেন। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।
এই খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মাহবুবে আলমের থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
রিটে আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৪(১)/৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়সের পরে এই পদে থাকার নিয়ম নেই। ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ বছর হয়ে যায়। নির্দিষ্ট বয়স শেষ হওয়ার পরও তিনি ওই পদে বহাল রয়েছেন।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে প্রায় আট বছর টানা এই পদে বহাল তিনি। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাহবুবে আলম কোন কর্তৃত্ববলে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বহাল রয়েছেন তার নির্দেশনা জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হবেন। সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অন্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক সাতষট্টি বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদটি সাংবিধানিক উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধান মেনে চলা সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবিধানিক অন্য সব পদেই নির্ধারিত সময়ের পরে আর কেউ থাকতে পারেন না।
ওইদিন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকা নিয়ে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ মাহবুবে আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়াছিলাম। কিন্তু এই লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় এই রিট দায়ের করা হয়েছে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.