অপ্রাসঙ্গিক না হতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে
ওয়ান নিউজঃ রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপিতেও বুদ্ধিমান রাজনীতিকরা আছেন। তারা নির্বাচনে না আসার ভুল করবে বলে আমার মনে হয় না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তার এমন আশাবাদের মূলভিত্তি জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলছি। এদেশকে যতটা চিনি, বিএনপিকে যতটা চিনি। বাস্তবতা থেকে বলছি। বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরাতো রাজনীতি করি। রাজনীতির কৌশল আছে। বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, সেটার পরিনামে তাদেরকে যতটা দুর্বল, সংকুচিত করেছে, এলোমেলো করেছে, ভবিষ্যতে তাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে অপ্রাসাঙ্গিক হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। সে ঝুঁকি তারা নেবে না বলে বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আরেকটা নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এবার পার্লামেন্টেও নেই, রাজপথেও নেই। নেক্সট টাইম তারা আবার পার্লামেন্টেও থাকবে না, রাজপথেও থাকবে না – এ রকম অবস্থায় তাদের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। তাদেরও অনেক বুদ্ধিমান নেতা আছে। এই ঝুঁকি তারা নেবেন না।
বিএনপি ‘মানি না, মানব না’ মানসিকতার মধ্যে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারা ঢুকেছে। এর মধ্যে থেকে তারা বের হতে পারছে না।
তারা (বিএনপি) ঠিকই নির্বাচনে অংশ নেবে জানিয়ে সাবেক এই ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সব রকমের সহযোগিতা আমরা দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই বাংলাদেশে এই সরকারের আমলেই যে ইলেকশন নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে হয়েছে, আগামী নির্বাচনও নারায়ণগঞ্জ মডেলে সবার কাছে সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ইলেকশন হোক।’
কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নোয়াখালীর হাতিয়ায় নেয়া হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধী করছে নোয়াখালীর মানুষেরা। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালীর মন্ত্রী না। আমি সরকারের একজন মন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবো। নোয়াখালীতে কেউ বিরোধীতা করতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সবাই যে বিরোধীতা করছে তাও না। তবে এটা কোনো সমস্যা না। সব সমস্যাই সমাধানযোগ্য।
হাতিয়ায় রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিক করা সরকারের একার পক্ষে কষ্টসাধ্য কাজ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করা বিশাল কর্মযজ্ঞ। এক্ষত্রে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সস্প্রদায়ের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তারা সহযোগিতা করলে কাজটি সহজ হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.