ডেস্ক নিউজ:
আখেরাতের সম্বল অর্জনের স্থান দুনিয়া। মানুষ এখানে আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালন করেই পরকালের সফলতায় নিজেকে নিয়োজিত করে। তাই সব সময় গোনাহমুক্ত জীবন-যাপনে নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করতে আল্লাহর কাছে ধরণা দেয়ার বিকল্প নেই।
দুনিয়ায় অন্তরের দোষ-ত্রুটি থেকে বিরত থাকতে এবং আল্লাহর ভয় অর্জন করতে প্রত্যেক রোজাদারের জন্য বেশি বেশি এ দোয়া পড়া-
اَللَّهُمَّ اغْسِلْنِى فِيْهِ مِنَ الذُّنُوْبِ وَ طَهِّرْنِى فِيْهِ مِنَ الْعُيُوْبِ وَامْتَحِنْ قَلْبِىْ فِيْهِ بِتَقْوَى الْقُلُوْبِ يَا مُقِيْلَ عَثَرَاتِ الْمُذْنِبِيْنَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগসিলনি ফিহি মিনাজ্জুনুবি, ওয়া ত্বাহ্হিরনি ফিহি মিনাল উয়ুবি; ওয়াম্তাহিন ক্বালবি ফিহি বিতাক্বওয়াল কুলুবি; ইয়া মুক্বিলা আছরাতিল মুজনিবিন।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার সব গোনাহ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তোমার ভয় অন্তরে পোষণ করার মাধ্যমে আমার অন্তরকে সব পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।
লাইলাতুল কদরের দোয়া
রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশের পাশাপাশি এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদরে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে বলেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপন করার পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:১৪
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.